ফ্ল্যাপে লিখা কথা এক সবুজের সন্তান হয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে পা ফুলিয়ে ফেলে। রাখাইন তরুণী তার ফুলে যাওয়া পায়ে বেধে দেয় কলাপাতার বটিকা। সাঁওতাল যুবতী তার কেটে যাওয়া বহুতে বেধে দেয় ভেষজ প্রেম। মুরং বালিকার হাতে সে তুলে দেয় একটা একটা সবুজ পাখির ডিম। হাঁটতে হাঁটতে তার যাত্রায় যোগ হয় চেয়ার কোচ,টেম্পু, ভটভুটি। ভিনদেশী পরিব্রাজকের মতো নিশ্চুপ হয়ে যায় সে । সঙ্গে থাকে না অ্যান্ড্রোয়েড ফোন কিংবা কোরবানির গরুর চামড়ার ওয়ালেট কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের রূপালী সূতা ভরা টাকা কিংবা মহাজনী অশ্লীল ভিসা কার্ড।
তাকে যেন পার করে দিতে পারলে বেঁচে যায় পরিবহনগুলো। বাসে ওঠে সে ভাড়া দিতে পারে না। সে যেন তাদের বলে, ‘ফেরি মি অ্যাক্রোস দ্য রোড... আই হ্যাভ নো পেনি.অ্যান্ড মাই আইজ আর গ্রিন.,.’ তাকে ফেরি পার করে দেয়। তাকে চেয়ার কোচ পার করে দেয়। তাকে নিয়ে চলে নীল সমুদ্রের কাছে।
সমুদ্রের কাছে গিয়ে সে অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকে। তিন দিন তিন রাত কাঁদতে কাঁদতে তার চোখ ফুলে ওঠে।
আউটসোর্সিং পেশায় জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ে ফুয়াদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস তার কাছে সেকেলে মনে হয়। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আপডেট করা হয় না সেই সিলেবাস। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর শাসন আর রক্ষণশীল শিক্ষকদের পীড়নে অসহায় হয়ে ওঠে বার বার ফেল করতে থাকে সফল ফ্রিল্যান্সার ফুয়াদ। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে পুরোপুরি আউসোর্সিং পেশায় মনোনিবেশ করে সে। এক সময় বহু বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সে। তার আধ্যাত্বিক ক্ষমতাপ্রাপ্তির গুজবে গণমাধ্যমের সংবাদে পরিণত হয় সে। এভাবেই বদলে যায় তার জীবনের দৃশ্যপট। দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দিতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয় এই তরুণ।