সূচীপত্র তাহারাত অধ্যায়: তাহারাত ব্যতিরেকে সালাম ককূল হয় না তাহারাতের ফযীলাত সালাতের চাবি হল তাহারাত পায়খানায় প্রবেশের দু'আ পায়খানা থেকে বের হওয়ার দু'আ পেশাব-পায়খানাকালে বিকলামুখী হওয়া নিষিদ্ধ উক্ত বিষয়ে অনুমতি প্রসঙ্গে দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষেধ উক্ত বিষয়ের অনুমতি প্রসঙ্গে পেশাব পায়খানার সময় আড়ালে যাওয়া ডান হাতে শৌচকর্ম মাকরূহ পাথর দ্বারা ইস্তিনজা করা ইস্তিনজায় দু'টি পাথর ব্যবহার করা যে সব বস্তু দিয়ে ইস্তিনজা মাকরূহ পানির দ্বারা ইস্তিনজা করা ইস্তিনজার প্রয়ােজন হলে রাসূল (সা.) অনেক দূরে চলে যেতেন গােসল করার স্থানে পেশাব করা অপছন্দনীয় মিসওয়াক করা নিদ্রাভঙ্গের পর হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে প্রবেশ না করানাে উযূ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া একই কোষে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া দাড়ি খিলাল করা মাথা মাসহের সময় সামনে থেকে শুরু করে পিছনের দিকে যেতে হবে মাসহে মাথার পিছন থেকে শুরু করা প্রসঙ্গে একবার মাথা মাসহে করা মাথা মাসহের জন্য নতুন পানি লওয়া প্রসঙ্গে কানের সম্মুখ ও পিছন উভয় দিক মাসহে করা কানের বিধান মাথার সাথে সম্পৃক্ত অঙ্গুলী খেলাল করা উযূতে যাদের গােড়ালি ভিজেনি তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি উযুতে প্রতি অঙ্গ একবার একবার করে ধােয়া উষ্যতে প্রতি অঙ্গ দুইবার করে ধােয়া উষ্যতে প্রতি অঙ্গ তিনবার করে দেয়া একবার করে, দুইবার করে, তিনবার করে ধুয়ে উযু করা উযূতে কিছু অঙ্গ দুইবার করে আর কিছু অঙ্গ তিনবার করে থােয়া নবী (সা.)-এর উযূ কেমন ছিল উযূর পর কিছু পানি ছিটিয়ে দেওয়া পরিপূর্ণভাবে উযূ করা উযূর পর রুমাল ব্যবহার করা উযূ করার পর দু'আ এক মুদ পরিমাণ পানি দিয়ে উযূ করা উনূর মধ্যে পানির অপচয় পছন্দনীয় নয় প্রতি সালাতের জন্য উযু করা এক উযূতে একাধিক সালাত আদায় করা পুরুষ ও নারীর একই পাত্র থেকে উযূ করা মহিলা কর্তৃক তাহারাতের জন্য ব্যবহৃত পানির অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করা মাকরূহ সিজদায় ভূমিতে হস্তদ্বয় স্থাপন করা এবং দুই পা খাড়া রাখা রুকু ও সিজদা থেকে মাথা তুলে পিঠ সােজা রাখা ইমামের আগে রুকু ও সিজদায় যাওয়া মাকরূহ দুই সিজদার মাঝে নিতম্ব ভূমিতে রেখে দুই হাঁটু খাড়া করে বসা মাকরূহ এই বিষয়ে অনুমতি প্রসঙ্গে দুই সিজদার মাঝে দু'আ সিজদার সময় কিছুতে ভর দেওয়া সিজদা থেকে কিভাবে দাঁড়াবে এই বিষয়ে আরেকটি অনুচ্ছেদ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ভিত তৈরি হয়েছিলো ১৯৫৯ সালে। পূর্ব বাংলায় ইসলামের জ্ঞানের প্রসারের জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিলো। একটি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, এবং আরেকটি দারুল উলুম। এই দারুল উলুম প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিলো ইসলামকে তথা এর শরীয়াহকে একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ১৯৬০ সালে দারুল উলুমের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ইসলামিক একাডেমি এবং একে করাচির প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ’ এর আওতাভুক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তা ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে নতুন করে জন্মলাভ করে। ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সদা জাগ্রত রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম থেকেই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ হলো শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি গঠন, ইসলামিক মিশন প্রতিষ্ঠা, যাকাত ফান্ড গঠন, পাঠাগার তৈরি, মিডিয়া সেন্টার এবং নানা ইসলামিক বইয়ের প্রকাশনা। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই বলতে মূলত এই প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতায় যে সকল বই প্রকাশিত হয়েছে সেসকল বইকে বোঝায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বই সমূহ ইসলামের জ্ঞানচর্চাকে ত্বরান্বিত করে আসছে। সাধারণ মুসলিমরা যাতে করে ইসলামের শুদ্ধ জ্ঞানটির খোঁজ পায় সে উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠানটির এ মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বই সমগ্র এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘তিরমিযী শরীফ (১ম-৬ষ্ঠ খণ্ড)’, ‘ফাতাওয়া ও মাসাইল ১ম ও ২য় খণ্ড’, ‘আল-কুরআনের বিষয়ভিত্তিক আয়াত’, ‘বুখারী শরীফ’, ‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘ইসলামী আইন ও আইন বিজ্ঞান’, ‘আল-কুরআনুল করীম (আরবিসহ বঙ্গানুবাদ)’ ইত্যাদি। এছাড়াও এ প্রতিষ্ঠান ইসলাম বিষয়ক গবেষণার জন্য মেধানুসারে পুরস্কার ও পদক প্রদান করে থাকে।