লেখিকার কথা যৌবনে সব মেয়েই সুন্দর। এই কারণে সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে কালো বা ফর্সা কোনোটাই অন্তরায় হতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, কালো হলেই যে সে অসুন্দর হবে আর ফর্সা হলেই সুন্দর হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা বা গ্যারান্টি নেই। কারণ, বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেখা যায় নিগ্রো বংশোদ্ভুত কালো মেয়েরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
অনেকে আছেন নিজেকে একটু সুন্দর করে সাজাতে পারলেই ভাবেন তিনি সুন্দরী হয়ে গেছেন। আসলে সাজগোজ সৌন্দর্য পরিস্ফুটনের একটা অন্যতম হাতিয়ার বা মাধ্যম। তবে ন্যাচারাল বিউটি বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো তুলনা নেই। আপনার হাঁটা, বসা, দাঁড়ানো, কথা বলা, হাসা এসবই হলো সৌন্দর্য পরিস্ফুটনের এক একটি মাধ্যম। সুতরাং এগুলোর সংমিশ্রণে সঠিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে হবে।
যখনই আপনি কোন পোশাক পরবেন তা যেন আপনার গায়ের রঙের সাথেও মানানসই হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। পোশাক হতে হবে চলতি সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানো ফ্যাশন অনুসরণ করে। তবে এমন পোশাক নিশ্চয় পরবেন না যেটা পরলে আপনার পোশাক অপরের চোখে সমালোচিত হতে পারে। ম্যাচিং করা কমদামী পোশাকও আপনার মধ্যে এনে দিতে পারে সৌন্দর্য আর আভিজাত্যের ছোঁয়া। একটি সাধারণ সুঁতির শাড়িও আপনাকে করে তুলতে পারে যে কোন অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু।
অনেকসময় দেখা যায় সামান্য একটু সাজগোজ আপনার চেহারায় এনে দিতে পারে বাড়তি লাবণ্য। যা দীপ্তিতে আপনি নিজেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবেন। নিজেকে যখন সুন্দরী দেখায় তখন স্বাভাবিকভাবেই এক ধরনের সেলফ কনফিডেন্স তৈরি হয়ে যায়। নিজের পাশাপাশি আশেপাশের পরিবেশেও সেই ছাপ পড়তে বাধ্য। অর্থাৎ আপনি নিজে যখন সুন্দরী আর স্মার্টের ভূমিকায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন তখন চারপাশের পরিবেশও যেন আপনারই অঙ্গুলি হিলনে মুভ করতে শুরু করবে। এটা আমার কথা নয় অনেক গুলি আর জ্ঞানী মানুষের কথা।
এই বইতে শুধু রূপচর্চার গতানুগতিক নিয়মগুলোই নয়। বরং এই সাথে প্রকৃত রূপ বা সৌন্দর্য চর্চার গভীরের তথ্যগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গায়ের রঙ কালো থেকে ফর্সা করার জন্য নয়, বরং আপনার ত্বক বা সৌন্দর্যে উজ্জ্বল করার জন্য আলোচনা করা হয়েছে অসংখ্য পদ্ধতি। এসব পদ্ধতিতে ব্যবহৃত উপাদানগলোও আপনি পাবেন হাতের কাছেই। আর রয়েছে প্রয়োজনীয় রঙিন ছবি। যা থেকে সাজের বিষয়গুলো সম্পর্কে অনায়াসে ধারণা করে নিতে পারবেন। আশা করা যায় বইটি সকল সৌন্দর্য সচেতনাদের কাজে লাগবে।