আপনি একজন শিক্ষার্থী, অথবা যে কোনো বয়সি পাঠক। আপনার প্রয়োজন সমগ্রবিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানের খোঁজ-খবর রাখা। আমাদের এই পৃথিবী প্রায় ছয় বিলিয়ন বছরের পুরনো। মহাবিশ্বে প্রতিনিয়তই উদ্ভাবন হচ্ছে দূর্লভ দূর্লভ নানা আবিষ্কার। আর আবিষ্কৃত হয়েছে এমন অনেক কোটি কোটি বিষয়। যার অনেক কিছুই আমাদের অজানা। এসব যাবতিয় অজানা বিষয়ের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে আপনার জ্ঞানকে সম্মৃদ্ধ করতে প্রয়োজন সার্বজনীন বিশ্বকোষ বা এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো গ্রন্থ। যা ইউরোপ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ গুলোতে স্কুল পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- লেখা পড়ার একেবারেই শুরুতে। সেসমস্ত দেশের পাঠ্য তালিকায় তথ্য-প্রযুক্তির সর্বশেষ বিষয় নিয়ে থাকে আরো কত কী প্রযুক্তি। “ইউনিভার্সেল এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ওয়ার্ল্ড তেমনই একটি গ্রন্থ।
যেগ্রন্থে ক্রমান্বয়ে সাজানো রয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাস-ঐতিহ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, মানব সভ্যতার ইতিহাস, পশু-পাখি, ফল-মূল, নানান কীটপতঙ্গ আর উদ্ভিদ জগৎ-এর বর্ণনা, প্রাণিজগৎতের বিভিন্ন শাখা প্রশাখাতো আছেই। শৈবাল-ছত্রাকের ভিন্নতা রয়েছে যেমন, তেমনি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ-সাকসবজি আর ফল-মূল-এর সূচারু বর্ণনায় গ্রন্থটি হয়েছে সমৃদ্ধ।
পৃথিবীর বিখ্যাত দার্শনিক আর তাদের মতবাদ, শতাব্দির শ্রেষ্ঠ স্থাপনা, দালান-কোঠা, ব্রীজ-কালবার্ট নির্মাণ, নানান দেশের নানান পোশাক-আসাক, প্রাচীন থেকে আধুনিক সভ্যতার অলঙ্কার, বিশ্বময় নিত্যকলা-সংস্কৃতি, সেতু-পাতাল পথ, বাঁধ এবং সড়ক, মসজিদ-মন্দির, গীর্জা প্যাগোডাসহ আরো কত কী আছে প্রাচীন। আধুনিক বিশ্বের নানান বৈচিত্র্যময় ক্ষেপনাস্ত্র-অস্ত্রশরঞ্জামাদি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর বিভিন্ন যন্ত্রের বহুমূখী বর্ণনা, জল-স্থল-আকাশপথের বিভিন্ন যানবাহনের ধারাবাহিক বর্ণনা। রয়েছে রঙের বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন রঙের বর্ণনা, মজার মজার রান্না আর বিভিন্ন দেশের খাবার-দাবারের সচিত্র আলোচনা। ক্রীড়া-সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে রয়েছে বিস্তারিত, এই সব কিছুই কাগজের মলাটে চার রঙের ছাপায় আর উন্নত বাঁধাইয়ে আপনার হাতের নাগালে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভার্সনেই রয়েছে গ্রন্থটি। এতো সব কর্মকা- ও ব্যাপ্তির সারৎসার এক গ্রন্থে, চলুন না একবার বইটির সূচিপত্রে চোখ বুলিয়ে আসি।