প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
মিখাইল বাকুনিন
জন্ম: ৩০ মে, ১৮১৪, মৃত্যু ১ জুলাই, ১৮৭৬। বিখ্যাত রুশ বিপ্লবী এবং সম্মিলিত নৈরাজ্যবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা। তাকে কখনও কখনও নৈরাজ্যবাদী তত্ত্বের জনক হিসেবে। অভিহিত করা হয়। বাকুনিনের শৈশব কাটে রাশিয়ার প্রিয়ামাখিনােতে। সেখান থেকে তিনি দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য মস্কো গমন করেন। সেখানে তিনি প্রথমে ফিশে ও পরবর্তীতে হেগেলের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। . বাকুনিন রাষ্ট্র, ধর্ম ও সমাজব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু মৌলিক মতবাদের জন্য বিখ্যাত। চরমপন্থী মতবাদের জন্য ফরাসী সরকার বাকুনিনকে বহিষ্কৃত ঘােষণা করে। তিনি প্রথমে বেলজিয়াম ও পরে পুনরায় জার্মানিতে ফেরত আসেন। ১৮৪৯ সালে জার্মানির ডেসড্রেন বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার অভিযােগে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু বাকুনিন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ মওকুব করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাকে রুশ সরকারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার পর স্থায়ীভাবে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করা হয়। | নৈরাজ্যবাদকে তার চুড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গিয়ে হাজির করার জন্য মিখাইল বাকুনিন বিপ্লবের উপর অধিক গুরুত্ব আরােপ করেন। একটু গভীরভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, বাকুনিন তার নৈরাজ্যবাদ তত্ত্বকে বিবর্তনবাদ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বলেন যে, মানবজীবনের বিকাশ শুরু হয় এক অবস্থায়, কিন্তু তা বিবর্তনের ধারা বেয়ে পরিণতি লাভ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থায়। বিকাশের আদি পর্বে মানুষের জীবনে পশুপ্রবৃত্তি ও প্রাকৃতিক বাধা-বিপত্তিসমূহ বেশ প্রবল থাকে। এসব প্রতিকূল শক্তি থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র, ধর্ম, সম্পত্তি প্রভৃতি কর্তৃত্ব প্রয়ােগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়ােজন। দেখা দেয়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হওয়ার ফলে যখন এসব প্রতিকূল শক্তি পরাজয় বরণ করে, তখন মানুষের জীবন এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়, যে অবস্থায় কর্তৃত্ব প্রয়ােগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের আর কোন প্রয়ােজনীয়তা থাকে না।