ঘরে বসে অলস সময় কাটছে। জব মার্কেটের অবস্থা শোচনীয়। পকেটভর্তি টাকা নেই। ব্যবসার প্লান আছে কিন্তু টাকা না থাকায় কিছু শুরু করতে পারছেন না। দোকান বা অফিস ভাড়া ও সিকুরিটি, এই মুহূর্তে কিছুই নেই। এদিকে আপনি চাচ্ছেন- মাসে দশ থেকে বারো হাজার টাকা আসুক, যা দিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়ে নেওয়া যাবে। আসলেই চাইলে তো সম্ভব না। সম্ভব যদি- আপনি অনলাইন বিজনেস শুরু করেন। এখানে দোকান ভাড়া নেই, সিকুরিটি নেই। আপনার বেশি মূলধন লাগবে না। আপনার খুব বেশি লস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না। শুধু দরকার আপনি কোন আইডিয়া নিয়ে শুরু করবেন। আপনার অনলাইন বিজনেসের আইডিয়া বাছাই করা হবে, ব্যবসার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর আপনাকে আইডিয়া খুঁজে দিতে সাহায্য করবে- অনলাইন বিজনেস ও আইডিয়া বইটি। শুধু আইডিয়া নয়, কিভাবে সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করবেন, সঠিক পণ্য বাছাই, বিজনেস ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ সাজাবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর আদ্যোপান্ত, অনলাইন ও অফলাইনে আপনার মার্কেটিং কেমন হবে, কোন টিপসগুলো এপ্লাই করলে সেল বাড়বে, এসব নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে আর দেরী কেন? ঝাঁপিয়ে পড়ুন...
অনলাইন বিজনেস। নতুন ট্রেন্ড। আসলে নতুন ট্রেন্ড নয়। বাংলাদেশে আজ থেকে দশ বছর আগেও অনলাইন বিজনেস ছিলো। বর্তমানে যারা উদ্যোক্তা হচ্ছেন বা হবেন বলে মনে করছেন- তাঁদের অধিকাংশ অনলাইনে শুরু করছেন। ই-কমার্স বা অনলাইন বিজনেস বাংলাদেশে ক্রমে জনপ্রিয় হচ্ছে। একটা মুঠোফোন বা কম্পিউটারে সারাদেশকে মুঠোবন্দি করা যাচ্ছে, সহজে কাস্টমারদের কাছে পণ্যের বিজ্ঞাপন পৌঁছে যাচ্ছে এবং কুরিয়ার করে বা নিজস্ব ডেলিভারীর মাধ্যমে পছন্দের পণ্য কাস্টমার পেয়ে যাচ্ছেন ঘরে বসে। একটা সহজ বিজনেস সিস্টেম দিনকে দিন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে, নতুন ব্যবসায়ী তৈরী হচ্ছেন এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ভোক্তার ভোগান্তি কমেছে এবং সময় বেঁচে যাচ্ছে অনেক। ফলে- আশা করা যায়, আগামী দিনে বাংলাদেশে ই-কমার্স আরো জনপ্রিয় হবে এবং এই সেক্টেরে প্রচুর সম্ভাবনা আছে।
বাড়ি চাঁদপুর। বাড়ির পাশে পদ্মা নদী। পদ্মার তাজা ইলিশ খাচ্ছেন। ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলেন। বন্ধুরা খেতে চাচ্ছে। বন্ধুর বাড়ি ঢাকা। মাঝখানে অনেক পথ, সম্ভব না। রাজশাহীর আম, টাংগাইলের চমচম, নাটোরের রসগোল্লা, চট্টগ্রামের মেজবানি ও শুটকি, কুমিল্লার রসমালাই, সিলেটের চা এভাবে সব জেলার সব মুখরোচক খাবার ও জিনিসপাতি আছে যা অন্য জেলার লোকজন সহজে পায় না। তারপর আপনি হাতের তৈরী কাজ জানেন। একটা কাজ সময় নিয়ে করতে পারেন। বাজার ঘুরে ঘুরে ভালো জিনিসপত্র খুঁজে বের করতে ওস্তাদ। শপিং করতে গেলে বন্ধুুরা আপনাকে নিয়ে যায় কারণ আপনি ভালো জিনিসটা চিনেন। আপনি ফটোগ্রাফী করেন, আপনার সংগ্রহে প্রচুর ভালো ছবি আছে কিন্তু পকেটে চা খাওয়ার টাকা নেই। ছবি ফ্রেম করেন, বেঁচে দেন। এরকম অসংখ্য ছোট ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে। আমার বিশ্বাস- বইটি আপনার স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা করবে।
আবদুল হাকিম নাহিদ, লেখক ও একজন সফল উদ্যোক্তা। পনের অক্টোম্বর উনিশশো নব্বই সালে হাতিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক পড়ার সময় সাপ্তাহিক দ্বীপশিখা দ্বীপশিখা পত্রিকা পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করেন এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে ভিন্ন কিছু করার অভিপ্রায়ে উদ্যোক্তা হওয়ার মিশনে নামেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করেন 'দাঁড়িকমা প্রকাশনী'। নিজের একান্ত প্রচেষ্টা, মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে অল্প সময়েই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজ, শুধু চাকুরীর পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- তিনি এই স্বপ্নই দেখেন।