“একজন মায়া, অজস্র মধুচন্দ্রিমা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ‘একজন মায়া অজস্র মধুচন্দ্রিমা' জেসমিন চৌধুরীর বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসের কাহিনী বিলেতের বাঙালি সমাজে পারিবারিক নির্যাতন এবং শিশুবিকাশের উপর এর প্রভাবকে কেন্দ্র। করে আবর্তিত হয়েছে। উপন্যাসটির ভাষা ইংরেজি, বাংলা এবং সিলেটির একটি আকর্ষণীয় মিশ্রন যা বিলেতে। বসবাসরত দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের জীবনের বাস্তবতাকে তুলে ধরে। উপন্যাসের বিষয়বস্তু কঠোর বাস্তবতা নির্ভর হলেও লেখকের ভাষা ও আঞ্চলিক প্রবাদের ব্যবহারে তা বেশ রসাত্মকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। গল্পটি শুধুমাত্র নির্যাতিত মেয়েদের সমস্যার কথাই বলে না বরং কীভাবে তারা এ থেকে মুক্ত হবার। মাধ্যমে নিজের এবং পরিবারের দুর্গতি কমিয়ে আনতে। পারে, সে সম্পর্কে কিছুটা দিক নির্দেশনাও দেয়। উপন্যাসের মূল চরিত্র মায়া, একটি অল্পবয়েসি বাংলাদেশি মেয়ে, আপাত দৃষ্টিতে সুশিক্ষিত এবং মার্জিত পুরুষ। আরমানের সাথে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিবাহসূত্রে। আবদ্ধ হয়ে বিলেতে পাড়ি জমায়। শুরুতে বিবাহিত। জীবনকে বেশ সুখের মনে হলেও অতি দ্রুত মায়া তার নিয়ন্ত্রণকামী স্বামী আরমানের মুঠিতে বন্দি হয়ে পড়ে। কিন্তু অর্বাচীন মায়া তার স্বামীর নিয়ন্ত্রণকামিতাকে। ভালােবাসা বলে বারবার ভুল করতে থাকে আর এভাবেই চলতে থাকে নির্যাতনের দুষ্ট চক্র- মানসিক চাপ, শারিরীক নির্যাতন, ভালােবাসার অভিনয়, আবার মানসিক চাপ। শেষ পর্যন্ত মায়ার আট বছরের মেয়ে মাহার কারণে। এই নির্যাতনের ঘটনা পুলিশের কাছে প্রকাশিত হয়ে। পড়লে আরমানও নিজের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু। আরমান কি পারবে নিজের ভুলগুলাে সংশােধন করে। নিজের পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, নাকি বড় বেশি দেরি হয়ে গেছে?