সংসদ সমার্থ শব্দকোষ বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত “সমার্থশব্দকোষ (সংসদ) বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে একটি অতুলনীয় সংযোজন।……যাঁহারা বাহুল্যবর্জিত, প্রসাদগুণবিশিষ্ট অথচ তাৎপর্যসমৃদ্ধ বাংলা লিখিতে- অগ্রসর হইবেন, তাহারা নিশ্চয়ই এই গ্রন্থের সমাদর করিবেন।”
সত্যজিৎ রায় “সমার্থশব্দকোষ ব্যবহার করে আমি বিশেষ উপকৃত হয়েছি। বাংলায় থিসরাস ছিল না, এই বই সে অভাব পূরণ করবে। যেকোনো বাংলা লেখকের পক্ষেই বইটি অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।”
অমিতাভ চৌধুরী “এমন উপকারী ও দরকারি বন্ধু আর নেই। বাংলায় প্রকৃত থিসরাস তিনিই উপহার দিলেন |”
আনন্দবাজার পত্রিকা “এ কথা দ্বিধাহীনভাবে বলা চলে যে কী পূর্ণাঙ্গতার বিচারে, কী সামগ্রিক উপযোগিতার বিচারে সমার্থশব্দকোষ যেকোনও বাংলা-ভাষা-ব্যবহারকারীর টেবিলে রাখার মতো বই।”
যুগান্তর “এতদিনে বাংলায় একটি প্রয়োজনীয় থিসরাস হলো।”
আধুনিক বাংলা থিয়েটারের এক পুরোধা পুরুষ অশোক মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০-এ উত্তর কলকাতার বনেদি পাড়া শোভাবাজারে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের কৃতী ছাত্র, অধ্যাপনা করেছেন কল্যাণী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়িয়েছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, নাটক এবং গণজ্ঞাপন বিদ্যা। নাট্যশীলন তাঁর সৃজনী সত্ত্বা বিকাশের ক্ষেত্র হিসাবে খুঁজে নিয়েছেন থিয়েটারকে। ১৯৬০-এ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত নান্দীকারে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৬ তে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে নান্দীকার ছেড়ে এসে তৈরি করেন থিয়েটার ওয়ার্কশপ। তাঁর অভিনয়ের বিকাশ যেমন ঘটেছে রাজরক্ত, চাকভাঙা মধু, নরক গুলজার, শোয়াইক গেল যুদ্ধে, গালিলেওর জীবন, বিসর্জন, বেড়া, সদাগরের নৌকো, পালিয়ে বেড়ায়, অন্ধযুগের মানুষ, কাশ্মীর প্রিন্সেস, মাটির গভীরে, মুছে যাওয়া দিনগুলি, কুশীলব, দীর্ঘ দিন দগ্ধ রাত প্রভৃতি বহু নাটকে, তেমনি তাঁর নির্দেশনার স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে আছে বেলা অবেলার গল্প, আলিবাবা, বেড়া, একা এবং একা, পোকা, ম্যাকবেথা অন্ধযুগের মানুষ সহ বহু থিয়েটার ওয়ার্কশপ প্রযোজনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রযোজিত শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা নাটক দুঃসময় বা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রযোজিত রবীন্দ্রনাথের চিরকুমার সভা স্মরণীয় হয়ে আছে তাঁর নির্দেশনার গুণে। অভিনয়-নির্দেশনা ছাড়াও নাটক রচনা, অনুবাদ-রূপান্তরের বহু উচ্চমানের সৃষ্টি এসেছেতাঁর কলম থেকে। থিয়েটার বিষয়ে তাঁর প্রবন্ধ সংকলনগুলিও আজ নাটকের ছাত্রদের অবশ্য-পাঠ্য তালিকায়। ভারতের সমস্ত নাট্যকেন্দ্র এবং ইয়োরোপ ও আমেরিকার বহু শহরেও গেছেন অশোক মুখোপাথ্যায়, অংশ নিয়েছেন অভিনয়, প্রযোজনা, শিক্ষণ ও আলোচনার কাজে। সম্পাদনা করেছেন। নাট্যপত্রিকা। তবু আজও অক্লান্ত এই সত্তোরোর্ধ যুবক। কথা বলতে ভালোবাসেন আগামী স্বপ্নগুলির বিষয়ে, পিছনে ফেলে আসা সাফল্য বিষয়ে নয়। তাই বোধহয় এখনও এমন সৃষ্টিশীল ও সম্ভাবনাময় থাকতে পেরেছেন