কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের দৈয়ারা গ্রামে জুলাই ১৯৮৩ সালের ২০ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সেলিম নিজ এলাকার বসন্তপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসায় দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেছেন। মায়ের নাম মিসেস হাজেরা বেগম। ছয় ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনার পর পিতার মাদরাসায় ভর্তি হন এবং ২০০১ সালে কৃতিত্বের সাথে দাখিল পাশ করেন। ২০০৩ সালে ছারছীনা দারুস্-সুন্নাত কামিল মাদরাসা থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ আলিম পাস। ২০০৫ সালে একই মাদরাসা থেকে ফাযিল (ডিগ্রি) পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকা পঞ্চম স্থান লাভ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা’র তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে ফিক্হ বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থানসহ কামিল পাস করেন। ২০০৬-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ইংরেজি বিষয়ে বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই ঢাকা’র বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ, শিক্ষক নির্বন্ধন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সাল থেকে দেশের বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ধর্মীয় আলোচক ও উপস্থাপক হিসেবে পারফর্ম করছেন। ছাত্রজীবন থেকেই ঢাকাস্থ বিভিন্ন জামে মসজিদে খতীবের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে পশ্চিম আগারগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খতিব পদে নিয়োজিত আছেন। ২০০৯ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ প্রবেশনারি অফিসার পদে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল অফিসার পদে উন্নীত হন। ২০১৭ সালের রমজান মাসে আরটিভি কর্তৃক তার প্রথম বই ‘আস সিয়ামু জুন্নাহ’ প্রকাশিত হয়। তিনি ২০১২ সালে নরসিংদীস্থ জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী’র চতুর্থ কন্যা আফিফা’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।
